গণহত্যার শহীদদের স্মরণে ‘লালযাত্রা’ মঙ্গলবার
আপলোড সময় :
২৪-০৩-২০২৫ ০৪:১৪:৩৩ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
২৪-০৩-২০২৫ ০৪:১৪:৩৩ অপরাহ্ন
কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও ‘লালযাত্রা’ আয়োজন করছে নাট্য সংগঠন প্রাচ্যনাট।
মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একত্রিত হয়ে, কণ্ঠে দেশের গান তুলে এই আয়োজনে অংশ নেবেন নাট্যকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। ক্যাম্পাসের স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বর থেকে ফুলার রোডের স্মৃতি চিরন্তন চত্বর পর্যন্ত এ যাত্রা অনুষ্ঠিত হবে, জানান প্রাচ্যনাটের পরিচালক (হেড অব ক্রিয়েটিভ) আজাদ আবুল কালাম।
তিনি বলেন, “একাত্তরের ২৫ মার্চ সেই কালরাতের শহীদদের স্মরণে আমরা ‘লালযাত্রা’ আয়োজন করি। এর মাধ্যমে আমরা সকল গণহত্যার বিরুদ্ধেই প্রতিবাদ জানাই। এবারের ‘লালযাত্রায়’ ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের রক্তপথ থেকে শুরু করে সাম্প্রতিক জুলাই গণহত্যা এবং প্যালেস্টাইনের গণহত্যার সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হবে।”
২০১১ সাল থেকে রাহুল আনন্দের ভাবনা ও পরিকল্পনায় প্রাচ্যনাট ‘লালযাত্রা’ আয়োজন শুরু করে।
লালযাত্রার ধারণাটি কীভাবে এলো, সে বিষয়ে রাহুল আনন্দ একবার বলেছিলেন, “প্রাচ্যনাট স্কুলে ক্লাস নিতে গিয়ে এই ধারণা আমার মাথায় আসে। স্কুলের শিক্ষার্থীদের নিয়ে রাস্তার পারফরম্যান্স করার দায়িত্ব প্রাচ্যনাট আমাকে দিয়েছিল। তখন ভাবলাম, কেন না আমরা সবসময় একদিকে অভিনয় করি এবং অন্যদিকে দর্শক বসে থাকে? আমার অনেক দিনের ইচ্ছা ছিল একটি চলমান পারফরম্যান্স করব, যেখানে চলতে থাকা লোকজনই দেখবে। পারফরম্যান্সটা হেঁটে যাবে।”
সংগীতশিল্পী রাহুল আরও বলেন, “শান্তিপূর্ণভাবে গান গাইতে গাইতে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় হাঁটা—এটা যেন যুদ্ধের নয় মাস অতিক্রম করার মতো। এই ভাবনা থেকেই আমরা ‘লালযাত্রা’ শুরু করি।”
লালযাত্রা এখন কেবল প্রাচ্যনাটের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; অন্যান্য সংগঠনের সদস্য এবং সাধারণ মানুষও এতে অংশ নিচ্ছে। প্রতিবছরই লালযাত্রায় একাধিক মায়ের চরিত্র প্রদর্শিত হয়, এবারের মায়ের চরিত্রে প্রাচ্যনাটের অভিনয়শিল্পী পারভীন পারু।
মায়ের চরিত্রের বার্তা কী, তা জানতে চাইলে রাহুল আনন্দ বলেছিলেন, “আমরা সবাই তো মায়ের আঁচল ধরে হেঁটে হেঁটে বড় হই। লালযাত্রায়ও আমরা মায়ের রক্তরাঙা লাল শাড়ির আঁচল ধরে হাঁটি, কণ্ঠে থাকে দেশের গান। এটা একটি রূপক, যা আমাদের ঐতিহ্য, সংগ্রাম এবং স্বাধীনতার প্রতীক।”
নিউজটি আপডেট করেছেন : mainadmin
কমেন্ট বক্স